শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শাহরিয়ার মিল্টন,শেরপুর :
উজান থেকে নেমে আসা খরস্রোতা চেল্লাখালী নদীটি নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারী এলাকার বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে। একসময় এ নদীতে নৌকা চলতো ও প্রচুর দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যেতো। এ নদীর সুস্বাদু মাছ শিকার করতেন এলাকার শৌখিন মৎস্য শিকারিরা। কালক্রমে এই নদীটি এখন অনেকটাই মরা খালে পরিণত হয়েছে। এ নদীতে এখন আর তেমন মাছ পাওয়া যায় না। বর্ষায় থাকে খরস্রোত আর শুকনো মৌসুমে মরা খালে পরিণত হয়। কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, নদীর পাড়ের জমি পলি পড়ায় অনেক বেশি উর্বর হয়েছে। এই উর্বর জমিতে ধানের ফলন ভালো হয়। একরে প্রায় ৭০-৮০ মণ হারে ধান পাওয়া যায়। নদীর বুকে আগাম বোরো ধান রোপণ করায় ধান কাটার সময় পাহাড়ি ঢলের ঝুঁকিও নেই।
পাহাড়ি ঢল নামার আগেই তাদের সোনার ফসল ঘরে তুলতে পারেন। উপজেলার বুরুঙ্গা ব্রিজের দক্ষিণ পাশে তিনি এবার ৯০ শতাংশ নদী পাড়ের জমি আবাদ করেছেন। এছাড়া জহুর উদ্দিন, হাবিল উদ্দিন ও আছমত আলীসহ প্রায় ১৫ জন প্রান্তিক কৃষক ওই নদীর বুকে প্রায় ২৫ একরের মতো জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন বলেন, চেল্লাখালী নদীর বুকে কৃষকরা বোরো ধান রোপণ করেছেন যা খাদ্য উৎপাদন নিরাপত্তায় খুব ভালো উদ্যোগ। নদীর পাড়ের পলিমাটিযুক্ত জমি ধান উৎপাদনের জন্য ভালো, ফলনও বেশি হয়। তাই ধান রোপণের পাশাপাশি নদীর পাড়ে সবজি আবাদ করলেও কৃষক লাভবান হতে পারবেন।